Graphics Design
About Course
কোর্সের বিবরণ
গ্রাফিক্স ডিজাইন (গ্রাফিক ডিজাইন) বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ কাজ। যা বর্তমানে লোকাল মার্কেটে যেমন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে ঠিক তেমনি বিশ্ব বাজারে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা ব্যাপক। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে একজন দক্ষ ডিজাইনার তার কাজের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে রেমিটেন্স বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
বিগত যুগেও আমাদের প্রেক্ষাপটে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে আমরা বুঝতাম, ছবি তোলার স্টুডিওতে ছবি তোলা কিংবা ছবিকে ফর্সা করা, বড় ছোট করা, প্রিন্ট করা। এছাড়াও বুঝতাম দেয়ালে লেখা, ব্যানার করা, বিয়ের কার্ড ডিজাইন করা।
কিন্ত আজকে এই সেক্টরটা এতটাই বড় যে, যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান , স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, আইটি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক সহ সর্বক্ষেত্রে ডিজাইন একটি বড় অংশ হয়ে পড়ছে। আপনার ডিজাইন যতটা নিখুঁত, সুন্দর ও যথার্থ হয়, ততই তা অন্যদের থেকে আলাদা ও ক্রিয়েটিভ হয়ে পড়ে।
Our next batch will start within
-
00Days
-
00Hours
-
00Minutes
-
00Seconds
কোর্সের উদ্দেশ্য
Softnmart Limited এর উদ্যোগে প্রফেশনাল এই কোর্সটির মাধ্যমে আমরা আপনাকে ডিজাইন স্কিলের খুটিঁনাটি সকল কিছুই সহজে তুলে ধরা হয়। এতে করে আপনি একজনি এন্ট্রি লেভেলের ডিজাইনার থেকে প্রফেশনাল একজন ডিজাইনার হিসেবে মার্কেটপ্লেসে শক্ত অবস্থান তৈরী করতে পারবেন। এছাড়াও, আমরা আমাদের ওয়াটস অ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে সার্বক্ষণিক সাপোর্ট এর নিশ্চয়তা দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কিভাবে আয় করা যায় তার ধারনা ও আয় করা পর্যন্ত আমরা সাপোর্ট দিয়ে থাকি।
Our counselors are always available to help you. Contact Now
কাদের জন্য এই কোর্সঃ
১. চাকরিপ্রার্থীঃ যারা বর্তমান সময়ে চাকরির জন্য নিজেকে তৈরী করছেন তাদের সিভিতে একটি স্কিল বা দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই কোর্সটি কোন বিকল্প নেই । এছাড়া Powerpoint Presentation, Data Presentation, Web Design এর মতন বিষয়গুলোতে চাকরীর ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে এই কোর্সটি করার মাধ্যমে এগিয়ে রাখবেন। চাকরির পাশাপাশি Freelancing উপায়ে ঘরে বসেই আপনি আয় করতে পারেন। যা আপনার আয়ের একটি বাড়তি উৎস।
২. গৃহিণী অথবা ঘরে অবসর সময় আছে যাদেরঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে আয় করার একটি অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন স্কিল
শিক্ষতে পারেন আপনি এই কোর্সের মাধ্যমে। নিজের ব্যক্তিগত বিষয়গুলোতেও নিজের ডিজাইন চর্চা তুলে ধরতে পারেন। হতে পারে সেটা ফ্যাশন ডিজাইন অথবা ঘরের কোন সাজানো বিষয়।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সবচেয়ে বড় কষ্টকর ব্যাপার হল সুন্দর প্রেজেন্টশন। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল গুগল থেকে কোন কিছু কপি করলেই তা গ্রেড পয়েন্ট কমিয়ে পেলে। আর সেক্ষেত্রে যদি আপনি নিজেই সেই ডিজাইনটা নিজের পচ্ছন্দমতভাবে তৈরী করতে পারেন তাহলে একদিকে যেমন দক্ষতা প্রকাশ পায় তেমনি আপনার গ্রেড পয়েন্ট এর ব্যাপারেও অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকবেন। এছাড়াও টিউশনি করাতে যাদের পচ্ছন্দ নয় তারা এই দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে মার্কেটপ্লেসের থেকে বৈদেশিক মুর্দ্রা অর্জণ করতে পারবেন।
৪. স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীঃ বর্তমান সময়ে মহামারীর কারনে ঘরে অনেকটা সময়ই অলসভাবে বা গেইম খেলে কাটাতে হয়। সেক্ষেত্রে যদি এই দক্ষতা অর্জন করা যায় তাহলে এটি আপনার আয়ের যেমন উৎস হয়ে দাঁড়ায় তেমনি আপনার সময় অলসভাবে নষ্ট হয় না।
পরিশেষে, যে কোন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এই দক্ষতাটি অর্জন করার কোন বিকল্প নেই। খুবই সামান্য নাম মাত্র মূল্যে এই কোর্সটি আপনাকে সত্যিকার অর্থেই ডিজাইন দক্ষতায় এগিয়ে রাখবে।
What Student’s Say
আমাদের কোর্সের বিশেষ দিক সমূহঃ
১। আমাদের বিগত কোর্সের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আমরা আমাদের চলমান ক্লায়েন্টদের কাজের মাধম্যে বিশেষ বিশেষ দিক গুলো তুলে ধরে থাকি। এত করে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে অনেক দ্রুত যে কেউ গ্রাফিক সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে পারে। তাই আমরা সর্বদা বলে থাকি, আমরা কাউকে মাছ ধরে খাওয়ানো শেখাই না বরং মাছ ধরার পদ্ধতি শিখাই।
২। দ্বিতীয়ত লাইফটাইম মেম্বারশীপ তবে অবশ্যই তা শুধু বলে যাওয়ার জন্য নয়। অন্যরা সর্বদা বলে লাইফটাইম মেম্বারশীপ সুযোগ আছে। কিন্ত আমাদের লাইফটাইম মেম্বারশীপ এর ক্ষেত্রে আমরা আমাদের হেল্প গ্রুপের মাধ্যমে ২৪/৭ সাহায্য করে থাকি।
৩। ৩/৪ জনের গ্রপের মাধ্যমে প্রজেক্ট করানো হয়। এবং ক্লায়েন্ট এর মাধ্যমে সরাসরি কাজ করে আয় করার সুবিধা পাওয়া যায়।
৪। ক্লাসের সকল ফাইল, ডেমো ফাইল এবং আপডেট ডিজাইন কন্সেপ্ট নিয়ে প্রতি ক্লাসে আলোচনা করা হয়।
৫। কারন ব্যতীত ক্লাস মিস দেয়াটা আমরা মেনে নেই না। কারন লাইভ ক্লাসে আমরা সর্বদা চেষ্টা করি যেটা শেখানো হয় সেটার প্রাথমিক অনুশীলন পর্যালোচনা করা। তাই আমাদের বিগত ছাত্র/ছাত্রীরা খুবই ভালো ভালে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে ফেলেন।
গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার কয়েকটি কারণ
১।গ্রাফিক ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রি ক্রমসম্প্রসারণশীল ইন্ডাস্ট্রি
সব ইন্ডাস্ট্রির যে ক্রমোন্নতি হয় তা নয়, যেহেতু আমাদের অর্থনীতি এবং জীবনধারা পরিবর্তনশীল। তাই কখনো কখনো কোনো কোনো পেশা সেকেলে বা বাতিল হয়ে গেলেও গ্রাফিক্সের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে না। ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকের পরিসংখ্যানমতে জানা যায়, ২০১৮ সাল পর্যন্ত গ্রাফিক্স ডিজাইনের অবস্থান কমপক্ষে ১৩ শতাংশ বাড়বে।
২।গ্রাফিক ডিজাইনারের সম্ভাব্য পদোন্নতি
বেশিরভাগ গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেন এন্ট্রি লেভেলের ডিজাইনার হিসেবে বা গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে। অবশ্য তাদের এ অবস্থান বেশিদিন স্থায়ী হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ২/৩ বছরের মধ্যে তাদের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে পদোন্নতি লাভ করতে পারেন খুব সহজেই। কেননা এক্ষেত্রে এখনো জনবল খুব কম।
৩।গ্রাফিক ডিজাইনারের নমনীয়তা
গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা স্বতন্ত্র বিভিন্ন ধরনের কাজের উপযোগী। যদি আপনি অন্যদের সাথে কাজ করতে উপযোগী হয়ে থাকেন, তাহলে ডিজাইন ফার্মে কাজ করতে পারবেন ডিজাইনার টিমের সাথে। এক্ষেত্রে আপনার সারাদিন কেটে যাবে ব্রেইনস্ট্রিমিংয়ের সেশনের কাজে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এক চমৎকার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে অভিজ্ঞ ও সৃজনশীল হয়ে থাকেন।
৪।গ্রাফিক ডিজাইন সৃজনশীল
গ্রাফিক ডিজাইনাররা স্বতন্ত্র বিভিন্ন ধরনের কাজের উপযোগী। যদি আপনি অন্যদের সাথে কাজ করতে উপযোগী হয়ে থাকেন, তাহলে ডিজাইন ফার্মে কাজ করতে পারবেন ডিজাইনার টিমের সাথে। এক্ষেত্রে আপনার সারাদিন কেটে যাবে ব্রেইনস্ট্রিমিংয়ের সেশনের কাজে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এক চমৎকার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে অভিজ্ঞ ও সৃজনশীল হয়ে থাকেন।
৫।গ্রাফিক ডিজাইনাররা সৃষ্টি করতে পারেন ভিন্নতা
ছবি হাজার কথা বলে। কিছু গ্রাফিক ডিজাইনাররা তাদের কর্মে ছবি ব্যবহার করেন ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করতে, যা জীবন্ত করে ফুটিয়ে তুলতে পারে পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে।
৬।গ্রাফিক ডিজাইনাররা বিখ্যাত হতে পারেন
পুরনো দিনের আর্টিস্টের কাজ আজকের যুগের গ্রাফিক্স ডিজাইনার দিয়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে অনেকখানি। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি নিজেকে তুলে ধরতে পারেন। এর ফলে পরে হয়তো হয়েও যেতে পারেন বিখ্যাত কোনো শিল্পী। পাবলো পিকাসো, ভ্যান গগ, জয়নুল আবেদিন প্রভৃতি শিল্পী তাদের সৃজনশীল শিল্পকর্ম দিয়ে যেমন জগৎখ্যাত হয়েছেন তেমনি আপনিও আধুনিক গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে আপনার সৃজনশীল অভিব্যক্তি তুলে ধরে জগৎখ্যাত হাতে পারেন।